নিজস্ব প্রতিবেদক | নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকম
প্রকাশিত: 2021-11-10 17:46:19 BdST হালনাগাদ: 2022-05-03 06:17:47 BdST
গুনে গুনে অনেকগুলো বছর, অনেক গুলো বসন্ত। নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে। আজ ১০ নভেম্বর ৬৬তে পা রাখলেন তিনি। বলছিলাম বরেণ্য ব্যবসায়ি নাছির ইউ মাহমুদের কথা। তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
অনাড়ম্বর আয়োজনে পরিবারের সঙ্গেই একান্তে কেটেছে তার জন্মদিনের প্রথম প্রহর। রাত ১২টা ১ মিনিটে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেন পরিবারের সদস্যরা। এ সময় সঙ্গে ছিলেন নাছির ইউ মাহমুদের স্ত্রী নিলুফা মাহমুদ, বড় ছেলে সালমান মাহমুদ, সালমানের স্ত্রী আলিফ লায়লা।

৬৬তে এসে জীবনবোধ নিয়ে নাছির মাহমুদ নতুন আলোকে বলেন, জীবন মানেই নিরন্তর এগিয়ে চলা। জীবন মানেই যুদ্ধ। মানুষের চাওয়ার শেষ নেই। চাওয়া পাওয়ার হিসাব না করে দেয়ার হিসাবটা আমাদের বাড়াতে হবে। জীবনের অপ্রাপ্তি নিয়ে কোন দুঃখ নেই। কেননা আমার জীবনে প্রাপ্তির ঝুলিটাই বড়। যা কিছু আমার অর্জন, তা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। এক কথায় বলব- আই অ্যাম হ্যাপি। যতদিন বেঁচে আছি, কাজের মধ্যেই থাকতে চাই।
আগামির ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনীতিতে সক্রিয় হব। জনসংযোগ বাড়াবো। মানুষের কল্যাণে কিছু উদ্যোগ নিব। এখনো অনেক কাজ বাকি। আর ব্যবসা নিয়ে নানা রকম পরিকল্পনা তো আছেই। সেগুলা যতটা সম্ভব এগিয়ে নিব।
বাবা প্রসঙ্গে সালমান মাহমুদ বলেন, বাবার জন্মদিন আমাদের জন্য বিশেষ দিন। পরিবার নিয়ে একটি বিশেষ দিন উদযাপনের পরিকল্পনা থাকে আমার। বাবার সুস্থতা কামনা করছি। তিনি দীর্ঘজীবী হওন। ছায়ার মত বাবা সবসময় পাশে থাকুক।

নাছির ইউ মাহমুদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১০ নভেম্বর। বরিশাল সদরে। বাবা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ। পেশায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে পুলিশ সুপার পদে থাকাকালীন তিনি অবসরে যান। মা জেবুন্নেসা বেগম। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে নাছির মাহমুদ দ্বিতীয়।
নাছির ইউ মাহমুদের পড়াশোনার হাতেখড়ি বরিশাল শহরের নব আদর্শ প্রাইমারি স্কুলে। ১৯৭৫ সালে বরিশাল জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৭৭ সালে বিএম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও ১৯৮৩ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি।
নাছির মাহমুদ পড়াশোনা শেষে ১৯৮৩ সালে মাহমুদ ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের নাম ওরিয়েন্ট ট্রেডিং এন্ড বিল্ডার্স লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে তার আবাসন কোম্পানি কুঞ্জ ডেভেলপার্স লিমিটেড।

নাছির ইউ মাহমুদ ১৯৮৩ সালে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী নিলুফা মাহমুদ। তাদের দুই ছেলে। বড় ছেলে সালমান মাহমুদ। তিনি কুঞ্জ ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ছোট ছেলে মাহমুদ আনজুম সুইডেন প্রবাসী।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাছির ইউ মাহমুদ ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৭৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের ডাকসুর নির্বাচিত ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮২ সালে এসএম হলের ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৩ সালে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন ‘নতুন বাংলা ছাত্র সমাজ’র আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তখন থেকেই তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বর্তমানে তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য।

নাছির ইউ মাহমুদ উত্তরা ক্লাবের ২০১৫-২০১৭ পর্যন্ত তিন মেয়াদে সভাপতি ছিলেন। তিনি ঢাকা বোট ক্লাবের সহ-সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম সিনিয়র্স ক্লাব, বরিশাল ক্লাব,সিলেট ক্লাব, অল কমিউনিটি ক্লাব, বনানী ক্লাব, বারিধারা ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি ক্লাবের সদস্য তিনি। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য। যুক্ত আছেন লায়ন্স ক্লাবের সঙ্গে। লায়ন্স ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ এ-২ এর চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।