সোমবার । এপ্রিল ২৯, ২০২৪ । । ১২:৫৬ এএম

সাক্ষাৎকারে মোঃ আবুল বাশার

সরকারের সাফল্য প্রশ্নাতীত, শেখ হাসিনা আনপ্যারালাল

সৈনূই জুয়েল | নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকম
প্রকাশিত: 2016-10-19 17:10:31 BdST হালনাগাদ: 2016-10-20 16:26:04 BdST

Share on

মোঃ আবুল বাশার, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য

বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৪৫ বছর অতিক্রম করেছে। এই ৪৫ বছরকে আমি দুটি অধ্যায়ে দেখি। স্বাধীনতার প্রথম ৩৭ বছর ও শেষ আট বছর। শেষ আট বছরে দেশের অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন হয়েছে তা ওই প্রথম ৩৭ বছরেও হয়নি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। মানুষ না খেয়ে মরার ঘটনা এখন রুপকথার মত। উত্তরবঙ্গের মঙ্গা এখন কেবলই যেন গল্প। স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের সাফল্য ভারতের চেয়ে এগিয়ে- এটি আমার নয়, ভারতের অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের কথা। বিদ্যুৎবিভ্রাট (লোডশেডিং) এখন আর কোন নিত্যনৈমিত্তিক সমস্যা নয়।

মোঃ আবুল বাশারের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন সৈনূই জুয়েল

নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ি মোঃ আবুল বাশার। তিনি বায়রার সাবেক সভাপতি। এক দীর্ঘ আলাপে উঠে এসেছে মোঃ আবুল বাশারের রাজনীতি, ব্যবসা ও ব্যক্তিজীবনের নানা প্রসঙ্গ।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিশেষ প্রতিনিধি সৈনূই জুয়েল। ছবি তুলেছেন মোঃ আসাদুল ইসলাম।

মোঃ আবুল বাশার নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ নির্মিত ও নির্মিতব্য সড়ক, মহাসড়ক ও উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার) দেশের বড় উন্নয়নের দৃষ্টান্ত। দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ করার ব্যাপারটি ছিল কল্পনাতীত, কিন্তু নির্মাণাধীন এ সেতুটি এখন জ্বলজ্বলে উদাহরণ। শুরু হচ্ছে মেট্রোরেল প্রকল্প। পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাগেরহাটের রামপাল ও কক্সবাজারের মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো নির্মিত হলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন অনেক উঁচুতে পৌঁছে যাবে। বিগত আট বছরে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারও অনেক বেড়েছে। দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত করার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের বড় অবদান ও কৃতিত্ব রয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পুরোপুরি মধ্যম আয়ের দেশ হবে- এটি সন্দেহাতীত। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য প্রশ্নাতীত, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়ে উঠেছেন আনপ্যারালাল।

নিজ কার্যালয়ে মোঃ আবুল বাশার

নতুন ও পুরনোদের সমন্বয়ে চমক থাকবে কমিটিতে
আসন্ন ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। কেমন হবে এবারের নতুন কমিটি জানতে চাইলে মোঃ আবুল বাশার নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন নিয়ে এরই মধ্যে উত্তেজনাসহ উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নতুন ও পুরনো নেতৃবৃন্দের সমন্বয় করে এবারের আওয়ামী লীগের কমিটিতে চমক রাখবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলে তথাকথিত সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ নেতাদের ঠাই হবেনা বলে আমি মনে করি। কারণ এসব নেতাদের পদায়ন ও ক্ষমতায়ন দলের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি দেশ ও দশের জন্য অভিশাপ। নেত্রী এসব নেতাদের অপকর্মের জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না। গত মেয়াদে থাকা সরকারের অনেক মন্ত্রীকে আমরা চলতি মেয়াদে মন্ত্রী হিসেবে পাইনি। এর কারণ খুব স্পষ্ট।
তিনি নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আরও বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পদে যেমন জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আধুনিক তারুণ্যের মেলবন্ধন পেয়েছি, আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নতুন কমিটিতেও তেমনটিই দেখা যাবে এবার। বয়োজ্যেষ্ঠ কিংবা জ্যেষ্ঠ নেতাদের পাশাপাশি তরুণ ও মেধাবী নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেত্রীর চৌকস ও বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগে তরুণ মেধাবী নেতৃত্ব আমরা পেয়েছি। আওয়ামী লীগে তারুণ্য ও মেধার অন্তর্ভুক্তি ও সমন্বয় দলটিকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কাছে অধিকতর শক্তিশালী ও সাধারণ মানুষের কাছে আস্থাশীল করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা দেখেছি ১৫৭টি আসনে আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এর অর্থ দাঁড়ায় ওই আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস কোন দলের ছিলনা। খেলোয়াড় ছাড়া দল পুরোপুরি অকার্যকর। বিএনপি তেমনি একটি অকার্যকর দলে পরিণত হয়েছে। হতে পারে বিএনপি বড় দল কিন্তু রাজনৈতিকভাবে দলটি এখন দেউলিয়া। অন্তত ২০৪১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ অপ্রদ্বন্দ্বি ও অপ্রতিরোধ্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল অভিনন্দন জানাচ্ছেন বায়রার সাবেক সভাপতি মোঃ আবুল বাশার

যেভাবে রাজনীতিতে অভিষেক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালে প্রায় সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের কঠিন দুঃসময় শুরু হয়। সেই দুঃসময়ে শেখ ফজলুল করিম সেলিমের হাত ধরে আমি মূলত আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসি। খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও তাদের অনুসারীরা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে নাজাত দিবস পালন করেছিল। আমরা ক্ষমতাচ্যুত হয়েও সেই নাজাত দিবস পালনকে প্রতিহত করেছিলাম। প্রতিহত করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছি। কম অত্যাচার পোহাতে হয়নি আমাদের।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মোঃ আবুল বাশার। হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন। ফলে তিনি প্রায় এক যুগ যুবলীগে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিদ্যালয় জীবনেই তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ফেনী জেলার স্থানীয় করিমউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে তিনি সেই বিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি হন। এরপর উচ্চমাধ্যমিকে পড়তে তিনি ঢাকায় আসেন। ১৯৭৬ সালে তিনি তেজগাঁও পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহসভাপতি (১৯৯৭), আহ্বায়ক (২০০১) ও সভাপতি (২০০২) নির্বাচিত হন। সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রতিটি পদে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ফেনী ৩ আসন (সোনাগাজি ও দাগনভূঞা) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট পেয়েছিলেন ৯৬ হাজার। ২৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি বিএনপি অধ্যুষিত এই আসনটিতে পরাজিত হন। দশম সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া সত্ত্বেও জাতীয় পার্টির দাবীর প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি বিশেষ মুহূর্তে মোঃ আবুল বাশার

ব্যবসায়ি হিসেবেও সফল আবুল বাশার
নিজের ব্যবসায়িক জীবনের শুরু প্রসঙ্গে আবুল বাশার নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমার প্রথম ব্যবসা যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিলারশিপ। এটা ছিল ১৯৭৪ সালের কথা। এরপর রিক্রুটিং এজেন্সি টেটকিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাথে যৌথভাবে কাজ করি। এখান থেকেই আমার রিক্রুটিং এজেন্সির ব্যবসার সূত্রপাত। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ছিলেন লুৎফর রহমান সরকার। তার হাত ধরেই আমি রিক্রুটিং এজেন্সির ব্যবসায় আসি। তিনিই আমার ব্যবসায়িক আদর্শ। তিনি মারা যাওয়ার পর ১৯৮১ সালে তার সরকার রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্সটি আমি কিনে নেই।

তিনি বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান, রেমিটেন্স এবং বেকারত্ব দূরীকরণে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই আমার এই ব্যবসায় আসা। দেশ ও মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করছি। আমার প্রতিষ্ঠান সরকার রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে এ পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি কর্মী সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কুয়েত, লিবিয়া, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমানসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে।  ১৯৯০ সালের পরে আমি আসি ঠিকাদারি ব্যবসায়। প্রতিষ্ঠানের নাম সরকার এন্টারপ্রাইজ। সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা হিসাবে আমি এপর্যন্ত ৭ বার সিআইপি (কমার্শিয়ালি ইমপর্টেন্ট পারসন) বা বাণিজ্য ব্যক্তিত্ব হওয়ার মর্যাদা পেয়েছি। সর্বশেষ সিআইপি পেয়েছি ২০০৭ সালে।

নিজ কার্যালয়ে মোঃ আবুল বাশার

সফল ব্যবসায়ী মোঃ আবুল বাশার ময়মনসিংহের ভালুকায় ২০০৯ সালে গড়ে তোলেন বাশার স্পিনিং মিলস লিমিটেড। এটি শতভাগ রপ্তানিমুখী সুতাকল। এবছরই ভালুকায় তিনি আরেকটি সুতাকল গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি শুরু করেন এয়ারলাইন টিকেটিং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ট্রাভেল এয়ারওয়েজ লিমিটেড।
প্রসঙ্গঃ বায়রা ও বায়রা জীবন বীমা
মোঃ আবুল বাশার দুইবার (২০১০-১২ ও ২০১৪-১৬ মেয়াদে) বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক রিক্রুটিং এজেন্সি সমিতির (বায়রা) সভাপতি ছিলেন। দুই মেয়াদে সভাপতি হিসেবে তিনি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জন্য নানা ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন। কাজ করেছেন বায়রার উন্নয়নে।

তিনি নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সর্বশেষ সভাপতি থাকাকালীন আমরা গাজীপুরে ১৬ বিঘা জমি কিনেছি। তিনতলা পর্যন্ত ভবনটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছিল। বিদেশে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির উদ্দেশ্যে একটি বিশ্বমানের আধুনিক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা হবে সেখানে। সরকারি পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় ৩১টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকলেও বায়রার রয়েছে ৩৫টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। বিদেশে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বেশি। দক্ষ কর্মীর আয়ও বেশি।

নিজ কার্যালয়ে মোঃ আবুল বাশার

এদিকে বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাশার নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমাদের ইন্স্যুরেন্সে এখন লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি। পুরো টাকা শেয়ারবাজার ও বন্ডে বিনিয়োগ করা আছে।

বিদেশী শ্রমবাজারে বাংলাদেশ শুধু শ্রমিকনির্ভর কেন? আমরা কি শ্রমিকদের পাশাপাশি বেশি সংখ্যক পেশাজীবী (ডাক্তার, প্রকৌশলী ইত্যাদি) পাঠাতে পারি কিনা এসব প্রশ্নের উত্তরে আবুল বাশার নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিদেশী শ্রমবাজারে শ্রমিকের পাশাপাশি পেশাজীবী পাঠাতে হলে সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন। যেসব বিদেশী প্রতিষ্ঠান পেশাজীবী নিতে চায় তাদেরকে জানাতে হবে যে বাংলাদেশ পেশাজীবী পাঠাতে সক্ষম। এ কাজটি সরকার ও বায়রা একসাথে করতে পারে। তারপরেও বিভিন্ন দেশে আমরা পেশাজীবী পাঠাচ্ছি। তবে সংখ্যায় সেটি খুব কম।

ব্যক্তি আবুল বাশার
ছোট বেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি আমার দুর্বলতা ছিল। আর পেশাগত ভাবনায় ব্যবসায়ি হবার স্বপ্ন দেখতাম। আর ঘটেছেও তাই। আমার দুটো শৈশব স্বপ্নই বাস্তবে রূপ নিয়েছে, জানালেন মোঃ আবুল বাশার।

ফেনীর কৃতী সন্তান মোঃ আবুল বাশার

সফল ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক মোঃ আবুল বাশারের জন্ম ১৯৫৭ সালের ৭ মে। ফেনী জেলার দাগনভূঞায়। গ্রামের নাম উত্তর আলীপুর। বাবা হাজী আমিন উল্লাহ। পেশায় ব্যবসায়ি ছিলেন। মা বেগম ওহিদুন নেসা। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। স্থানীয় করিমউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মাধ্যমিক এবং ঢাকার সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ১৯৭৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ১৯৮৭ সালের ৩ জুলাই তিনি নাছরুন নেসাকে বিয়ে করেন। তাদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ সৈকত। তিনি ট্রাভেল এয়ারওয়েজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তড়িৎকৌশল বিষয়ে তিনি বিএসসি সম্পন্ন করেছেন কানাডায়। ব্যবসার পাশাপাশি ইশতিয়াক এমবিএ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। দ্বিতীয় সন্তান ইমানা আক্তার পুনম এবছর নটিংহ্যাম কলেজ থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেছেন। তৃতীয় সন্তান আরভিন আক্তার পর্ণা। স্কলাসটিকায় এ’ লেভেলে পড়ছে। ছোট সন্তান ইফতেসাব আহমেদ সামি রাজধানীর একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। আবুল বাশার সপরিবারে মিরপুরে বসবাস করেন।

মোঃ আবুল বাশার বর্তমানে বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৫ সাল থেকে বৃহত্তর নোয়াখালী রিক্রুটিং এজেন্সি সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। নিজের প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিনি সরকার রিক্রুটিং এজেন্সি, বাশার স্পিনিং মিলস, বিএইচ রিয়েল এস্টেট ও ট্রাভেল এয়ারওয়েজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং সরকার এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী। এছাড়াও তিনি একজন সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে  দাগনভূঞা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও আমিনউল্লাহ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সভাপতি।

দুই মেয়াদের বায়রার সফল সভাপতি হিসেবে বায়রা কর্তৃক মোঃ আবুল বাশার দুইবার সম্মাননা পদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের শতাধিক সম্মাননা পদক পেয়েছেন।



  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত