‘২০০৪ সালে আমি যখন কনসালটেন্সি ফার্ম (পরামর্শক প্রতিষ্ঠান) শুরু করলাম। বেশ ভালোই সাড়া পেলাম। আমার বাসা নিকুঞ্জে। আশেপাশের অনেক মানুষজন আমাকে তাদের বাড়ির ড্রয়িং ডিজাইনের কাজ দিতে লাগলো। এমনকি তারা আমাকে তাদের পুরো বাড়ির নির্মাণ কাজ দিতেও আগ্রহ প্রকাশ করলো। এভাবেই আমি আবাসন ব্যবসায় আগ্রহী হয়ে উঠি।’
সম্প্রতি নতুন আলো টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলছিলেন আবাসন ব্যবসায়ি প্রকৌশলী ড. মাসুদা সিদ্দীক রোজী। সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে তার কর্ম ও জীবনের নানা অনুষঙ্গ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সৈনূই জুয়েল।

মাসুদা সিদ্দীক রোজী রাসা ডেভেলপার লিমিটেড, রাসা কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আবাসন ব্যবসায়িদের সংগঠন রিহ্যাবের (রিয়েল এস্টেট হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) পরিচালক তিনি।
তিনি বলেন, ২০০৬ সালে আমি আবাসন ব্যবসা শুরু করি- রাসা কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। ২০০৮ সালে রিহ্যাবের সদস্য হই। ২০১২ সাল থেকে টানা পাঁচ মেয়াদে আমি রিহ্যাবের পরিচালক পদে আছি।
দক্ষ জনবল গড়ছে রিহ্যাব ট্রেনিং ইন্সটিটিউট
মাসুদা সিদ্দীক রোজী রিহ্যাব ট্রেনিং ইন্সটিটিউট স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

রিহ্যাব ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিহ্যাব ট্রেনিং ইন্সটিটিউট ২০১৪ সাল থেকে দক্ষ নির্মাণ শ্রমিক তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখছে। ইলেক্ট্রিক্যাল, রড বাইন্ডিং, টাইল ফিটিং, প্লাম্বিং, মেসনারি ওয়ার্ক- এ পাঁচটি ট্রেডে ২১ হাজার শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা আমাদের। ১১টি জেলায় ১১টি ইন্সটিটিউটে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে এ পর্যন্ত আমরা ১৬ হাজার শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এর মধ্যে ৩০ ভাগ নারী ও ৭০ ভাগ পুরুষ রয়েছে।
আবাসন ব্যবসায় বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা প্রসঙ্গে তিনি নতুন আলোকে বলেন, নানা কারণে গ্রাহকদের সময়মত ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা ভীষণ কঠিন হয়ে পড়েছে। নির্মাণ সামগ্রীর দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। এবং খুব অল্প সময় ব্যবধানে বাড়ছে। ফলে গ্রাহকের সঙ্গে চুক্তিকৃত দামে ফ্ল্যাট বিক্রি করতে লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মাসুদা সিদ্দীক রোজী বলেন, একটি প্রকল্প হাতে নেয়ার পর, তা শেষ করতে দুই থেকে তিন বছর সময় লেগে যায়। অথচ এই সময় ব্যবধানের মধ্যে নির্মাণ সামগ্রীর দাম কয়েক দফা বেড়ে গেলে, ভীষণ বিপাকে পড়তে হয় আমাদের। ফ্ল্যাটের গ্রাহকদের সঙ্গে, জমির মালিকের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। আবার দক্ষ নির্মাণ শ্রমিকের সংকটও দিন দিন প্রকট হচ্ছে।
রাজউকে সময় নষ্ট
তিনি আরও বলেন, রাজউকের নানা রকম অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতায় প্রচুর সময় নষ্ট হয়। রাজউকের ওয়ানস্টপ সেবা চালু করা এখন সময়ের দাবি। অন্তত আবাসন ব্যবসায়িদের জন্য রাজউকের আলাদা একটি বিশেষায়িত সেল চালু করা উচিৎ, যেখানে একটি ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে হস্তান্তর পর্যন্ত সব কাজ এক জায়গায় হবে। আমরা রিহ্যাবের পক্ষ থেকে রাজউককে এ ব্যাপারে আমাদের দাবির কথা জানিয়েছি। দেখা যাক কি হয় আগামিতে।

মাসুদা রোজীর কর্মজীবন শুরু হয় ২০০৪ সালে তৎকালীন র্যাংগস ভবন নির্মাণ প্রকল্পে। এই প্রকল্পে বুয়েটের প্রকৌশলী ড. মিজানুর রহমানের তত্ত্বাবধানে তিনি সহকারি প্রকৌশলী পদে কর্মরত ছিলেন। সে সময় চাকরির পাশাপাশি তিনি পরামর্শক (কনসালট্যান্ট) হিসেবেও কাজ করতেন। কয়েক মাস চাকরি করার পর তিনি একই বছর নিজের ব্যবসা শুরু করেন। স্বামী, ভাইবোন, নিকট আত্মীয়দের সহযোগিতায় তিনি শুরু করেন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘রাসা ডিজাইন অ্যান্ড কনসালট্যান্ট’।
চাকরিজীবী থেকে ব্যবসায়ি
মাসুদা সিদ্দিক রোজী নতুন আলোকে বলেন, ২০০৪ সালে আমি যখন কনসালটেন্সি ফার্ম (পরামর্শক প্রতিষ্ঠান) শুরু করলাম। বেশ ভালোই সাড়া পেলাম। আমার বাসা নিকুঞ্জে। আশেপাশের অনেক মানুষজন আমাকে তাদের বাড়ির ড্রয়িং ডিজাইনের কাজ দিতে লাগলো। এমনকি তারা আমাকে তাদের পুরো বাড়ির নির্মাণ কাজ দিতেও আগ্রহ প্রকাশ করলো। এভাবেই আমি আবাসন ব্যবসায় আগ্রহী হয়ে উঠি। ২০০৬ সালে আমি আবাসন ব্যবসা শুরু করি- রাসা কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। ২০০৮ সালে রিহ্যাবের সদস্য হই। ২০১২ সাল থেকে টানা পাঁচ মেয়াদে আমি রিহ্যাবের (আবাসন ব্যবসায়ি সমিতি) পরিচালক পদে আছি। ২০১৩ সালে তিনি আরেকটি আবাসন কোম্পানি চালু করেন- রাসা ডেভেলপার লিমিটেড।

রাসা ডেভেলপারে এখন চলমান প্রকল্প রয়েছে ৬টি। ৪০টির বেশি প্রকল্প শেষ করেছে এই আবাসন কোম্পানি। ৮টি প্রকল্প শুরু হবে, জানালেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদা সিদ্দীক রোজী।
গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে অবস্থিত আটতলা ভবন রাসা তাহের, নিকুঞ্জে অবস্থিত ১০ তলা ভবন রাসা হ্যাভেন, খিলক্ষেতে অবস্থিত ১৫ তলা ভবন রাসা মামনি টাওয়ার, ময়মনসিংহে অবস্থিত রাসা আজহার টাওয়ার, উত্তরা সেক্টর ১১তে অবস্থিত আটতলা ভবন রাসা রাণী টাওয়ার, রাজবাড়িতে অবস্থিত আটতলা ভবন রাসা ৭১ টাওয়ার রাসা ডেভেলপার লিমিটেডের উল্লেখযোগ্য প্রকল্প।
প্রকৌশলী ড. রোজী একজন পুরোদস্তুর সাংগঠনিক মানুষ। তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা, মানুষকে একতাবদ্ধ করতে পছন্দ করেন। এ ব্যাপারে তার যথেষ্ট সক্ষমতা ও দূরদর্শিতাও রয়েছে।

তিনি ২০১৯ সালে নরসিংদীর নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে যাত্রা শুরু করেন নরসিংদী ওমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। তিনি এই চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এ চেম্বারের সদস্য এখন শতাধিক।
এছাড়াও তিনি সামাজিক সেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত আছেন দীর্ঘ দিন ধরে। ২০১৩ সালে সেবামূলক কার্যক্রমের পরিসর বাড়াতে নরসিংদীতে শুরু করেন মমতাজ-আনোয়ারা ফাউন্ডেশন। প্রয়াত বাবা-মায়ের নামে চালু করা এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিয়মিত দুঃস্থ মানুষের সেবায় নানা রকম কাজ করছেন তিনি।
শুধু সরকারের উপর দায়িত্ব চাপালে চলবে না
নরসিংদীতে মমতাজ-আনোয়ারা ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। ১১ শতাংশ জমির ওপর চারতলা এ প্রশিক্ষণ ভবনের কাজ চলছে।

প্রকৌশলী ড. মাসুদা সিদ্দিক রোজী বলেন, আমি তরুণদের নিয়ে খুব স্বপ্ন দেখি। বেকারত্বহীন সমাজের স্বপ্ন দেখি আমি। শুধু স্বপ্ন দেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। স্বপ্ন পূরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চাই। সে লক্ষ্যেই আমি এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করছি। তরুণরা কর্মক্ষম হবে, দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করবে। দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে। শুধু সরকারের উপর দায়িত্ব চাপালে চলবে না। তবেই দেশ এগিয়ে যাবে।
মাসুদা রোজী বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের (আইইবি) সঙ্গে ২০০৪ সাল থেকে সদস্য হিসেবে যুক্ত আছেন। তিনি ২০০৮-২০১০ ও ২০১০-২০১২ মেয়াদে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সদস্য সচিব, ২০১২-২০১৪ মেয়াদে ঢাকা সেন্ট্রাল কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। আইইবি’র বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সদস্য তিনি। আইইবি’র নারী উন্নয়ন কমিটির চেয়ারপারসন তিনি। তিনি আইইবি’র আজীবন ফেলো সদস্য।
তিনি কন্সট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের (সিআইসসি) সাধারণ সম্পাদক। তিনি এর আগে (২০১৭-২০২০) এ সংগঠনের পরিচালক ছিলেন।

প্রতিনিয়ত যোগ্য হবার, দক্ষ হবার চেষ্টা করে গেছি
এতসব কর্মযজ্ঞ নিয়ে এগুতে নারী হিসেবে কি ধরণের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে মাসুদা সিদ্দিক রোজী নতুন আলোকে বলেন, দেখুন নারীদের পিছিয়ে রাখতে চাওয়ার প্রবণতা এ সমাজের বহুকাল ধরে। পেশায়, রাজনীতিতে, সামাজিক সংগঠনে এমনকি পরিবারেও এ প্রবণতা খুব তীব্র। সময় বদলেছে, আবার নারীকে পিছিয়ে রাখার কৌশলও বদলেছে। আত্মবিশ্বাসের জোরে অনেক প্রতিকূলতা সামাল দিতে পেরেছি। প্রতিনিয়ত যোগ্য হবার, দক্ষ হবার চেষ্টা করে গেছি। সাফল্যও পেয়েছি। নারীকে যে শুধু পুরুষরা পিছিয়ে রাখতে চান, তা নয়। নারীরাও নারীদের বাধাগ্রস্ত করেন। বাধা যেমনই হোক, তা ডিঙ্গিয়ে যাওয়ার মানসিকতা থাকা জরুরী। বাধা ডিঙ্গানোর সক্ষমতা অর্জন করাও বাঞ্ছনীয়।
সক্ষমতা অনুযায়ী প্রকল্প নিতে হবে
নতুন যারা আবাসন ব্যবসায় আসতে চান, তাদের উদ্দেশ্যে মাসুদা সিদ্দিক রোজী বলেন, আবাসন ব্যবসা এখন ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। সুতরাং পর্যাপ্ত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা নিয়ে এ ব্যবসায় নামতে হবে। নির্ধারিত সময়ে গুণগত নির্মাণ শেষ করতে হবে। গ্রাহককে দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে হবে। সক্ষমতা অনুযায়ী প্রকল্প নিতে হবে। ধৈর্যের সঙ্গে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগুতে হবে।

ব্যক্তি মাসুদা রোজী
প্রকৌশলী ড. মাসুদা সিদ্দিক রোজীর জন্ম ১৯৬৬ সালের ১৭ জুন নরসিংদিতে। বাবা আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন ভুঁইয়া পেশায় ছিলেন খাদ্য পরিদর্শক। ২০০৪ সালে তিনি প্রয়াত হন। মা আলহাজ্ব আনোয়ারা বেগম। তিনি গৃহিণী ছিলেন। তিনি ২০১৩ সালে মারা যান। পরিবারে চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে মাসুদা তৃতীয়।
তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার শৈশব কেটেছে নরসিংদীতে। তবে বাবার কর্মসূত্রে তিনি ঢাকায় পড়াশোনা করেছেন। রাজধানীর বাড্ডা আলাতুননেসা হাই স্কুল থেকে ১৯৮৩ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন। সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে ১৯৮৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি) থেকে ২০০৪ সালে তিনি পুরকৌশল বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০১১ সালে তিনি স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে পুরকৌশল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০১৩ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তার পিএইচডির বিষয় ছিল থেকে ‘স্বল্পব্যয়ে পরিবেশবান্ধব গৃহায়ন (এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি লো কস্ট হাউজিং)’। ২০২২ সালে তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি) থেকে পেশাদারী প্রকৌশলী (পিইএনজি) সনদ লাভ করেন।
মাসুদা সিদ্দিক রোজী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। তিনি ছাত্ররাজনীতি করেছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য তিনি।

প্রকৌশলী দম্পতি
ড. মাসুদা সিদ্দিক রোজী ১৯৯৪ সালে বিয়ে করেন। তার স্বামী প্রকৌশলী ড. এমএম সিদ্দিক (পিইএনজি)। তিনি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাবেক প্রধান প্রকৌশলী। তিনি রাসা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এছাড়াও তিনি রাসা ডেভেলপার লিমিটেডের চেয়ারম্যান।
স্বামী প্রসঙ্গে মাসুদা সিদ্দিক রোজী বলেন, এমএম সিদ্দিক একজন অতি অসাধারণ মানুষ। আমি ভীষণ গর্বিত এমন একজন মানুষের সঙ্গে আমি জীবনের একটি লম্বা সময় ধরে আছি। আমার যা কিছু অর্জন, প্রাপ্তি, তাতে তার অনেক অবদান। তিনি চাইতেন আমি আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাই, নিজের একটি স্বকীয় পরিচয় বহন করি।

এমএম সিদ্দিক বর্তমানে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। তিনি ১৯৮৩-৮৪ মেয়াদে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের গত মেয়াদে (২০১৮-২০২০) সহসভাপতি ছিলেন তিনি।
এ প্রকৌশলী দম্পতির দুই ছেলেমেয়ে। ছেলে রেজোয়ান সিদ্দিক রাফি। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় অর্থনীতি বিষয়ে সম্প্রতি স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। পাশাপাশি সেখানে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করছেন। মেয়ে সামিয়া সিদ্দিক শামা কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল পদার্থবিদ্যা (ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্স) বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন ও চাকরি করছেন। দুই সন্তানের নামের (রাফি এবং সামা) আদ্যাক্ষর নিয়ে গড়ে উঠেছে আবাসন কোম্পানি রাসা ডেভেলপার লিমিটেড।