‘আমি তখন ক্লাস সিক্স বা সেভেনের ছাত্র। ১৯৭৪ বা ১৯৭৫ সালের কথা। আমার টাইফয়েড হয়েছিল। ভীষণ জ্বর। কোনভাবেই কমছেনা। আব্বা আমাকে ফার্মগেটের তেজকুনিপাড়ার একজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন। তিনি এমআরসিপি করা ডাক্তার ছিলেন- ডা. ওমর আলী। বেশ সুনাম ছিল তার। তার চেম্বারে রোগীর ভিড় থাকতো সবসময়। সেদিনও যথারীতি ভিড় ছিল। তার কক্ষে গেলাম। তিনি আমার সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন। তার কথা, আচরণ, ব্যবহারে আমি বেশ উপভোগ করছিলাম। মজার ব্যাপার হলো, তিনি জ্বর দেখতে যখন আমাকে স্পর্শ করলেন, আমার জ্বর কমে গেল। ব্যাপারটা আমার কাছে জাদুর মত মনে হল। ব্যাপারটা আমাকে দারুণ অবাক করলো। এ ঘটনা আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিলো। আমাকেও ডাক্তার হতে হবে।’
নতুন আলো টোয়েন্টিফোর ডটকমের একান্ত সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণার গল্প বলছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. দীন মুহাম্মদ। সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে গুণী এই চিকিৎসকের কর্ম ও ব্যক্তিজীবনের নানা অনুষঙ্গ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সৈনূই জুয়েল।
| সম্প্রতি বিসিপিএস'র সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. দীন মুহাম্মদ ও তার সহকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ডা. দীন মুহাম্মদ একজন জেনারেল, কলোরেক্টাল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন। তিনি কলোরেক্টাল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জারিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কলোরেক্টাল সার্জারি যেমন- কোলন-রেক্টাল ক্যান্সার, এনাল ফিস্টুলা, ফিসার, পাইলসের সার্জারি করেন তিনি। ল্যাপারোস্কপিক সার্জারিতে তিনি পিত্তপাথর, অ্যাপেন্ডিসাইটিস, হার্নিয়া সার্জারি করেন। মিরপুরে তিনি এরই মধ্যে একজন সফল ও গুণী সার্জনের তকমা পেয়েছেন।
গত দুই দশকে অধ্যাপক ডা. দীন মুহাম্মদ অন্তত ১২ হাজার সফল অস্ত্রোপচার করেছেন।
তবে রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি পেশাদারিত্ব, মানবিক ও নৈতিক দিক বিবেচনায় রাখেন। রোগীর সার্জারি আদৌ কতটা জরুরী, তা সময় নিয়ে বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করেন।
| কলোরেক্টাল ও ল্যাপারস্কোপিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মুহাম্মদ। ছবি: নতুন আলো
দায়িত্ব নিয়েই সার্জারি করি
অধ্যাপক ডা. দীন মুহাম্মদ বলেন, আমার কাছে এমন অনেক রোগী আসেন, যারা প্রথমে আমার রোগী ছিলেন না। অন্য কোন চিকিৎসকের রোগী ছিলেন। ওই চিকিৎসক তাকে সার্জারি করানোর কথা বলেছেন। যখন ওই রোগী আমার কাছে এলেন, দেখা গেল আমি তাকে সার্জারি না করানোর ব্যাপারে উৎসাহিত করছি। এমন অনেক রোগী আছেন, কিছু ওষুধ সেবনের মাধ্যমে সার্জারি এড়িয়ে তিনি সুস্থ হতে পারেন। এ রকম অনেক কেইস আমি হ্যান্ডেল করেছি। একান্ত জরুরী না হলে, আমি রোগীকে সার্জারি করাতে উৎসাহিত করি না।
তিনি বলেন, একজন রোগীর সার্জারি করা মানে, তার একটি বিশদ দায়িত্ব নিতে হবে আমাকে। দায়িত্ব নিতে পারলেই কেবল আমি সার্জারি করবো, অন্যথায় করবো না।
চিকিৎসকদের মধ্যে পেশাদারিত্বের চেয়ে বাণিজ্যর প্রভাব, প্রকাশ, চর্চা বেশি- সাধারণ মানুষ ও রোগীদের একটি বড় অংশ এমন নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন।
এ প্রসঙ্গে ডা. দীন মুহাম্মদ বলেন, আমি রোগী দেখি, বিনিময়ে পরামর্শক ফি নিই। আমি কতটা বাণিজ্যমুখী হব, তা নির্ভর করে আমার নৈতিক বোধ, ভিত্তি আর চর্চার উপর। আমি বলব, চিকিৎসকরা মানবিক হবেন। রোগীর প্রতি সদয় থাকবেন। পেশাদারিত্বের চেয়ে যেন বাণিজ্য বড় হয়ে দেখা না দেয়।
| মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের থাকাকালীন একটি সায়েন্টিফিক সেমিনারে অধ্যাপক ডা. দীন মুহাম্মদ। ছবি: সংগৃহীত
ভালো ডাক্তার খুঁজে নিতে হবে
সম্প্রতি আমরা দেখেছি বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে এক প্রসূতির অস্ত্রোপচারের পর পেটের ভেতরে গজ রেখে সেলাই করার ঘটনা ঘটেছে (১৬ এপ্রিল ২০২২)। এ ব্যাপারে হাই কোর্ট রুল জারি করতে বাধ্য হয়েছে। এমন অনেক ঘটনা প্রায়শই ঘটছে।
ভাল চিকিৎসক কিভাবে চিনব, জানবো কিংবা কিভাবে একজন রোগী বা সাধারণ মানুষ সচেতন থাকতে পারেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. দীন মুহাম্মদ নতুন আলোকে বলেন, চিকিৎসক সম্পর্কে পর্যাপ্ত খোঁজ খবর নেয়ার চর্চা বাড়াতে হবে। চিকিৎসা নেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের অভিজ্ঞতা, চিকিৎসক সম্পর্কে কারো ইতিবাচক বাক্য ইত্যাদি উপায়ে চিকিৎসকের ব্যাপারে খবর রাখা উচিৎ।
তিনি আরও বলেন, একজন চিকিৎসক কতটা দায়িত্বশীল, সেবাবান্ধব ও নৈতিক হবে, সেটি অনেকাংশে নির্ভর করে ওই চিকিৎসকের শৈশব-কৈশোর, পারিবারিক অবস্থা, মূল্যবোধ ও বেড়ে ওঠার পরিবেশসহ নানা অনুষঙ্গের ওপর।
একজন ভালো চিকিৎসকের মাহাত্ম্য হল, রোগীকে সঠিক ও সাশ্রয়ী গাইডলাইন দেয়া। এটিই বড় কর্তব্য ও নৈতিকতা, উল্লেখ করেন ডা. দীন মুহাম্মদ।
| মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের থাকাকালীন একটি সায়েন্টিফিক সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন অধ্যাপক ডা. দীন মুহাম্মদ। ছবি: সংগৃহীত
কেন সার্জারিতে
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে আমাদের সহকারি রেজিস্ট্রার ছিলেন রবি দা (ডা. রবীন্দ্র শংকর)। তিনি আমার পড়াশোনা, পার্ফরম্যান্স দেখে আমাকে সার্জারি বিষয়ে উৎসাহ দেন। তিনি বলতেন- এমবিবিএস করার পর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই সার্জারিতে আগ্রহী হয় না। ফলে আমাদের চিকিৎসা খাতে ভালো সার্জনের অভাব ও গুরুত্ব দুটিই বেশ প্রকট। আমি ইন্টার্নশিপে ১১টি এপেন্ডিসাইটিস ও অন্যান্য সার্জারি সফলভাবে করেছিলাম। এরপরে সার্জারিতে আমি আমার চর্চা ও পড়াশোনা বাড়িয়ে দেই। এভাবেই সার্জারিতে আমি ধীরে ধীরে দক্ষ হয়ে উঠি।
খাদেমুল ইসলাম, দীন মুহাম্মদ ও লোটে শেরিং
‘সার্জারিতে আমার গুরু বা আইকন যাই বলি না কেন- তিনি হলেন অধ্যাপক ডা. খাদেমুল ইসলাম।’
ডা. খাদেমুল ইসলাম প্রসঙ্গে ডা. দীন মুহাম্মদ বলেন, খাদেমুল ইসলাম স্যার আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন। তিনি সার্জারিতে একজন এক্সট্রা অর্ডিনারি মানুষ। কিছু মানুষের কিছু বিশেষ গুণ থাকে, একেবারেই ঐশ্বরিক গুণ। সবার এমন গুণ হয়তো থাকে না। খাদেমুল স্যারের সার্জারির হাত এতোটাই নিখুঁত, সুক্ষ্ম, কোমল, যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। তার সান্নিধ্যে আমি অনেক কিছু শিখেছি। এখনও সময় সুযোগ হলেই তার সঙ্গে অপারেশন থিয়েটারে সময় দেই। মুগ্ধ হয়ে তার কাজ দেখি, শিখি। স্যারের আন্তরিক সান্নিধ্য, পরামর্শ পেয়েছি আমি।
তিনি বলেন, খাদেমুল স্যার যখন সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন, আমি স্যারের অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলাম। সে সময় লোটে শেরিংও (ভুটানের প্রধানমন্ত্রী) স্যারকে অ্যাসিস্ট করতো। সে যদিও আমার জুনিয়র ব্যাচের ছিল।
| মিরপুরের একটি বেসরকারি চেম্বারে অধ্যাপক ডা. দীন মুহাম্মদ। ছবি: নতুন আলো
‘২০০১ সালে এফসিপিএস করার পর আমি প্রথম মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করি- সিটিসেল ছিল আমার প্রথম ফোন। এর আগে ফোন ব্যবহারের কথা কখনো মাথায় আসেনি।’ ডা. দীন মুহাম্মদ পড়াশোনায় কতটা মনোযোগী, দায়িত্বশীল আর সিরিয়াস ছিলেন- এ ঘটনা তারই ইঙ্গিত বহন করে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মোবাইল ফোন প্রথম চালু হয় ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে। আর্থিক সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারও আট বছর পর তিনি মুঠোফোন চালানো শুরু করেন।
প্রকাশিত জার্নাল
দ্য অ্যাপ্লিকেশন অব স্টেরয়েড থেরাপি অ্যালং উইথ ওয়াইড লোকাল এক্সিশন ইন দ্য ট্রিটমেন্ট অব ইন্ডিওপ্যাথিক গ্র্যানিউলোম্যাটাস ম্যাস্টাইটিস (IGM) ইন প্রভাতী হসপিটাল ইন পটুয়াখালী, সার্জিক্যাল আউটকাম অব ল্যাপারোস্কপিক কোলেসিস্টেকটমি ফর অ্যাকিউট গলব্লাডার ডিজিজেস, ভ্যারিয়েন্ট কিউটেনিয়াস মেনিফেস্টেশন অব এক্সট্রা পালমোনারি টিউবারকিউলোসিস, ট্রান্সঅ্যাবডোমিনাল প্রি-পেরিটোনিয়েল প্রসিডিউর (TAPP) ফর বাইল্যাটরাল অ্যান্ড রিকারেন্ট ইংগুইনাল অ্যামং মেন'সহ তার প্রকাশিত জার্নাল ১২টি। তার লেখা এসব চিকিৎসা বিষয়ক রচনা দেশের ও আন্তর্জাতিক বিভিন্না মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
| বেড়াতে ভালবাসেন অধ্যাপক ডা. দীন মুহাম্মদ। ছবি: সংগৃহীত
ব্যক্তি দীন মুহাম্মদ
অধ্যাপক ডা. দীন মুহাম্মদের জন্ম ১৯৬৪ সালের ৬ অক্টোবর। রাজধানীর মিরপুরের কাফরুলের এক সম্ভ্রান্ত ও বনেদী পরিবারে। বাবা মো. বিল্লাল। পেশায় ব্যবসায়ি ছিলেন। পাশাপাশি নিজেদের বিপুল সম্পত্তির দেখাশোনা করতেন। তিনি ১৯৮২ সালে মারা যান। মা সায়েতুন নেসা গৃহিণী ছিলেন, ১৯৯৪ সালে প্রয়াত হন তিনি। পরিবারে তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে দীন মুহাম্মদ চতুর্থ। মুসলিম মডার্ন হাই স্কুল থেকে ১৯৭৯ সালে মাধ্যমিক, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ১৯৮১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ১৯৮৮ সালে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন।
ডা. দীন মুহাম্মদ ১৯৯৪ সালে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ১৩তম ব্যাচে নিয়োগ পান। তার প্রথম পদায়ন হয় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য করমকর্তা পদে। ১৯৯৫ সালে ত্রিশালে বদলি হন তিনি। ১৯৯৬ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলজে হাসপাতালের সহকারি রেজিস্ট্রার হন। ২০০১ সালে তিনি বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) থেকে এফসিপিএস (সার্জারি) সম্পন্ন করেন। ২০০১ সালে তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার হন। ২০০৪ সালে তিনি টঙ্গি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে কনসালট্যান্ট (সার্জারি বিভাগ) হিসেবে নিযুক্ত হন।
| স্ত্রী নুরুন নাহারের সঙ্গে অধ্যাপক ডা. দীন মুহাম্মদ। ছবি: সংগৃহীত
তিনি ২০০৭ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কনসালট্যান্ট (সার্জারি) পদে, ২০০৮ সালে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কনসালট্যান্ট (সার্জারি) পদে কর্মরত ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি আসেন রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কনসালট্যান্ট (সার্জারি) পদে। এ প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৩ সালে তিনি সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০১৮ সালে (ফেব্রুয়ারি) তিনি সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন, নিযুক্ত হন পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ২০১৯ সালে তিনি রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি অধ্যাপক হন।
চলতি বছরের (২০২২) মার্চে ডা. দীন মুহাম্মদ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন।
| পরিবারের সঙ্গে অধ্যাপক ডা. দীন মুহাম্মদ। ছবি: সংগৃহীত
ডা. দীন মুহাম্মদ ২০১০ সালে ইংল্যান্ড থেকে এমআরসিএস (মেম্বার অব রয়্যাল কলেজ অব সার্জন্স) সম্পন্ন করেন। ২০১১ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড ল্যাপারোস্কোপিক হসপিটাল দিল্লীর ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০১২ সালে তিনি ভারতের অ্যাসোসিয়েশন অব কলোরেক্টাল সার্জন্স, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসোসিয়েশন অব কলোরেক্টাল সার্জন্স’র সদস্য হন।
গৃহিণী স্ত্রী নুরুন নাহার, দুই ছেলে- সাজিদ বিন মুহাম্মদ ও নাভিদ বিন মুহাম্মদ এবং মেয়ে সুবাইবা বিনতে মুহাম্মদকে নিয়ে ডা. দীন মুহাম্মদের পারিবার। ছেলেমেয়ে সবাই স্কলাস্টিকায় পড়ে। সপরিবার তিনি কাফরুলের ইব্রাহীমপুরে বসবাস করেন।