বুধবার । অক্টোবর ১, ২০২৫ । । ১১:৩৯ এএম

বঙ্গবন্ধু আমাকে ব্যবসা করতে বলেছিলেনঃ শেখ কবির হোসেন

সৈনূই জুয়েল | নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকম
প্রকাশিত: 2016-09-24 13:59:05 BdST হালনাগাদ: 2016-09-24 15:12:57 BdST

Share on

বিআইএর সভাপতি শেখ কবির হোসেন

ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সব দেশেই বীমা শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। কিন্তু বাংলাদেশে বীমা তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছেনা। মোট দেশজ উন্নয়নে (জিডিপি) বীমা শিল্পের অবদান এক শতাংশেরও কম। এর অন্যতম প্রধান কারণ, দেশের বেশিরভাগ মানুষ ও সম্পদকে আমরা বীমার আওতায় আনতে পারিনি। উন্নত দেশগুলোতে ব্যাংক গ্যারান্টির চেয়ে বীমা গ্যারান্টি অনেক বেশি শক্তিশালী। সেসব দেশে বাজেট প্রণয়নেও বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণের সুযোগ রাখে সরকার। কিন্তু আমাদের দেশে এমন সংস্কৃতি গড়ে উঠেনি।
শেখ কবির হসেনের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন সৈনূই জুয়েল
নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকম’র একান্ত সাক্ষাৎকারে বীমার অর্থনৈতিক গুরুত্ব প্রসঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন।

তিনি বলেন, আগে বীমা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে একটি নেতিবাচক ধারণা ছিল, যা অনেকটাই কমে এসছে। বীমা কোম্পানির এজেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার আওতায় এসেছে। ফলে গ্রাহকের আর্থিক নিশ্চয়তা বেড়েছে, কমেছে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ। এগুলো আশাব্যঞ্জক। বীমা শিল্পের প্রতি পূর্ববর্তী সরকারগুলো বরাবরই উদাসীন ছিল। তবে বর্তমান সরকার বীমা খাতকে গুরুত্ব দিয়েছে, এ খাতকে নিয়ে এসেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
সুতরাং বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বীমা খাতের অবদান দিন দিন বাড়ছে।

প্রসঙ্গঃ বাধ্যতামূলক বীমা
বাধ্যতামূলক বীমা প্রসঙ্গে নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য বীমা পলিসি গ্রহণ বাধ্যতামুলক করা খুব সহজ ব্যাপার নয়। এর জন্য প্রয়োজন সরকারি নীতিনির্ধারণী সহযোগিতা। বীমা বিষয়ক ধারণাগুলোকে মানুষের মাঝে তুলে ধরতে হবে। মানুষকে আর্থিক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে।  স্বাস্থ্যবীমা বাধ্যতামূলক করা গেলে স্বাস্থ্যখাতে সরকারি ব্যয় কমে যাবে। শিক্ষাবীমা একজন ছাত্রের শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। এগুলো মানুষকে বোঝাতে হবে।
বীমা খাতের নানা বিষয়ে কথা বলছেন শেখ কবির হোসেন
বীমাপণ্যে বৈচিত্র্য, নতুনত্ব ও প্রচারণা নেই
দেশে বীমা পণ্যে বৈচিত্র আনা, নতুন বীমা পণ্য যুক্ত করা প্রসঙ্গে শেখ কবির হোসেন বলেন, অবশ্যই আমি মনে করি এখন বীমার ক্ষেত্র ও পরিসর আরও বাড়ানো উচিত। বিভিন্ন সাধারণ ও ইভেন্টভিত্তিক প্রচারণায় জোর দেয়া উচিৎ কোম্পানিগুলোকে। এ জন্য কোম্পানিগুলোকে নতুন নতুন বীমাপণ্য বাজারে আনতে হবে। তবে তাদের এ বিষয়ে কিছুটা ঝুঁকি থেকেই যায়, যা সরকারি ভূমিকায় নিরসন করা সম্ভব। এছাড়া দেশে শস্যবীমা চালু করা যেতে পারে। বিদেশে চাকরি নিয়ে গমনেচ্ছু বাংলাদেশি নাগরিকদের বীমা পলিসির অধীনে আনা দরকার। এক্ষেত্রে সরকার, সাধারণ বীমা কোম্পানি, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিশ্ব ব্যাংক, এডিবিকে একসাথে কাজ করতে হবে। সরকার আদেশ দিয়ে নতুন নতুন বীমাপণ্য বাজারে আনতে সাহায্য করতে পারে বলে আমি মনে করি।”

রাষ্ট্রীয় বৃহৎ স্থাপনাগুলো কি বীমার আওতায়?
সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বৃহৎ ভৌত অবকাঠামো বীমা পলিসির অধীনে আনা উচিত। এগুলো যদি বীমা পলিসির অধীনে থাকে, তবে সরকারেরই ঝুঁকি কমে। আমি জানিনা, দেশের আইন প্রণয়নের সূতিকাগার জাতীয় সংসদ ভবনের কোন বীমা আছে কিনা। জানা নেই, ফ্লাইওভারসহ  নির্মিত যমুনা সেতু কিংবা নির্মিতব্য পদ্মা সেতুর কোন বীমা আছে কিনা। তবে এসব বৃহৎ স্থাপনা অবশ্যই বীমার আওতায় আসা উচিৎ। বীমা কোম্পানিগুলো  দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে অংশ নিতে চায়, চায় বিনিয়োগ করতে। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বীমা সেমিনারে আমরা পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ করার কথা উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীকে  বলেছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি বিশেষ মুহূর্তে শেখ কবির হোসেন
বিআইএ ও শেখ কবির হোসেন
বাংলাদেশ বীমা সমিতির (বিআইএ) অনেক উন্নয়ন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হয়েছে দেশের অন্যতম প্রথিতযশা বীমা ব্যক্তিত্ব শেখ কবির হোসেনের হাত ধরে। এই প্রসঙ্গে শেখ কবির নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমরা ২০১৩ সালে বর্তমান ঠিকানায় সমিতির নিজস্ব অফিস ফ্লোর, নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য উত্তরায় এক বিঘা জমি কিনেছি। এছাড়াও বীমা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ, সেমিনার করছি। গ্রাহকদের অভিযোগ আমলে নিয়ে তা সমাধান করছি।

বীমা খাতের কিছু সমস্যা ও সংকট
গ্রাহকদের জমানো টাকার উপর সরকারকে পাঁচ শতাংশ কর দিতে হয়। এতে গ্রাহকদের উপর চাপ পড়ে। যেহেতু সাধারণ মানুষ বীমার প্রতি ততটা আগ্রহী নয়, তাই সমিতি থেকে আমাদের দাবি ছিল, এই কর তুলে নেয়া হোক। এছাড়া বীমা কোম্পানির প্রতিনিধি (এজেন্ট) কমিশনের উপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হয়। এটিও কমিয়ে আনা হোক। দেশে ৪৫টি সাধারণ বীমা ও ৩০টি জীবন বীমা কোম্পানি রয়েছে। কিন্তু দেশে একমাত্র বিদেশী বীমা কোম্পানি মেটলাইফের দখলে দেশের বীমা ব্যবসার এক তৃতীয়াংশ। তারা তাদের গ্রাহক, এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যেভাবে সুযোগ সুবিধা দিতে পারে, আমরা সেভাবে পারিনা। ভারতীয় বীমা কোম্পানি এলআইসি বাংলাদেশে আসার প্রক্রিয়া চলছে। এই কোম্পানিটি এলে প্রতিযোগিতা বাড়বে। তবে আমাদের কোম্পানিগুলোকে সেই স্তরে পৌঁছুতে আরও সময় লাগবে। সে পর্যন্ত আমাদের সংকট, প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনায় রেখে বীমাবান্ধব পরিবেশ সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও এফবিবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদের সঙ্গে শেখ কবির হোসেন
ব্যক্তি শেখ কবির হোসেন
শেখ কবির হোসেনের জন্ম ১৯৪২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে। বাবা প্রখ্যাত সমাজসেবক প্রয়াত খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন। মা প্রয়াত রাহিলা খাতুন। সমাজ সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ মোশাররফ হোসেন ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক খান সাহেব উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি পাকিস্তানের কন্সটিটিউয়েন্ট এসেম্বলির সদস্য (এমসিএ) ছিলেন। পরে তিনি পূর্ব পাকিস্তান গণ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। শেখ কবির হোসেনের শিক্ষাজীবন শুরু হয় বাবার প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় জিটি স্কুল থেকে। এই স্কুল থেকে তিনি ১৯৫৭ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। রাজেন্দ্র কলেজ থেকে সম্পন্ন করেন ইন্টারমেডিয়েট। এরপর তিনি জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। শেখ কবির হসেনের স্ত্রী মাসুদা কবির ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে শেখ মুশফিক কবির একজন সরকারি আইনজীবী (পাবলিক প্রসিকিউটর)। দ্বিতীয় সন্তান শেখ মোসাদ্দেক কবির কর্মরত আছেন নভো এয়ারে। ছোট সন্তান শেখ রুম্পা কবির কানাডা প্রবাসী।

বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ কবির হোসেন দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত থেকেছেন ও অবদান রেখেছেন।

বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী শেখ কবির হোসেন ব্যবসা, শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষাসহ নানা সামাজিক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই রেখেছেন সফলতার স্বাক্ষর।
গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের একটি অনুষ্ঠানে শেখ কবির হোসেন
কর্মজীবনে শেখ কবির হোসেন
নিজের কর্মজীবন প্রসঙ্গে শেখ কবির হোসেন নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  পূর্ব পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে আমার কর্মজীবন শুরু হয়। এরপর আমি যোগ দেই সোনালী ব্যাংকে। ১৯৭৩ সালে আমি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে ব্যবস্থাপক পদে নিযুক্ত হই। ১৯৮৬ সালে চাকরি ছেড়ে ব্যবসায় আসি। বঙ্গবন্ধু আমাকে ব্যবসা করতে বলেছিলেন।

ব্যবসায় সাফল্য পেয়েছেন শেখ কবির হোসেন। সৃষ্টি করেছেন কর্মসংস্থান। একজন সফল ব্যবসায়ি হিসেবে বিভিন্ন খাতে তিনি সুনাম ও সাফল্য অর্জন করেন। তিনি একজন সিআইপি।

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে অমলিন স্মৃতি
বঙ্গবন্ধু জ্যোৎস্না রাত পছন্দ করতেন। পছন্দ করতেন লাঠিখেলা। বাড়িবাড়ি গিয়ে সবার খোঁজ নিতেন। খুব সদালাপী মানুষ ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক গণ্ডির বাইরে পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঘরোয়া আড্ডায় বঙ্গবন্ধু সময় কাটাতেন। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি ছিল তাঁর অগাদ ভালবাসা, জানালেন শেখ কবির হোসেন।

শেখ কবির হোসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চাচাত ভাই (ছোট) ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা। টুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবারের প্রবীণতম সদস্যদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করছেন শেখ কবির হোসেন
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কোন স্মৃতির কথা মনে পড়ে কিনা জানতে চাইলে নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শেখ কবির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে গেলে বাড়ির পরিবেশ হয়ে উঠত উৎসবমুখর। একদিন এমনই এক উৎসবমুখর পরিবেশে বাড়ির সবাইকে নিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু। আমিও ছিলাম সে আড্ডায়। একটি শিশু খুব দুষ্টুমি করছিল তখন। এক পর্যায়ে শিশুটি একটি কাচের জিনিস ভেঙ্গে ফেলে। শিশুটির মা শিশুটিকে বেশ বকাঝকা করতে করতে মারতে উদ্যত হলেন। এমন সময় বঙ্গবন্ধু শিশুটির মাকে থামিয়ে বললেন, ‘তুমি ওকে (শিশুটিকে)  এভাবে বকাঝকা করছ কেন? ও (শিশুটি) যে দুষ্টুমি করছে, তাতে বোঝা যায় ও সুস্থ আছে। শিশুরা দুষ্টুমি করবে, জিনিসপত্র ভাঙবে, এটাই তো স্বাভাবিক।’

সেবামূলক কর্মকাণ্ডে শেখ কবির
শেখ কবির হোসেন ১৯৭৫ সাল থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেবামূলক সংগঠন লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। পর্যায়ক্রমে তিনি লায়ন্স ক্লাবের জেলা গভর্নর, কাউন্সিল চেয়ারপারসন এবং পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচালক (২০০৫-২০০৭) হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল-এর সর্বোচ্চ পদক ‘অ্যাম্বাসেডর অব গুডউইল’ খেতাবে ভূষিত হন তিনি।
বাংলাদেশ ইয়ুথ লায়ন ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন শেখ কবির হোসেন
আরও সংশ্লিষ্টতা
শেখ কবির হোসেন পরপর তিনবারের বাংলাদেশ বীমা সমিতির (বিআইএ) সভাপতি। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর সর্বসম্মতিক্রমে চলতি মেয়াদের (২০১৫-২০১৬) জন্য তিনি ওই পদে নির্বাচিত হন। তিনি সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান। গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিডিবিএলের পর্ষদ সভায় তাঁকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।

বর্তমানে তিনি সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান।
সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের এক বার্ষিক সভায় বক্তব্য রাখছেন শেখ কবির হোসেন
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি ও ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন। তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেম্বার অব গভর্নরস।

শেখ কবির হোসেন এক সময় রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্য।



  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত