পৃথিবীর প্রায় সব দেশে স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। এসব স্মৃতিস্তম্ভ মূলত ইট, পাথর, সিমেন্ট বা কোনো ধাতু দিয়ে তৈরি হয়। কিন্তু বই দিয়ে স্মৃতিস্তম্ভ বানানোর কথা কোথাও শোনেননি হয়তো। হ্যাঁ, এবার এমনই স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে জার্মানিতে।
জার্মানির এথেন্স নগরে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে বই দিয়ে, যেসব বই নিষিদ্ধ রয়েছে বা এক সময় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ১৯৩৩ সালে জার্মানির যে স্থানে নাৎসিরা বিপুলসংখ্যক বই পুড়িয়েছিল সেখানেই শিল্পকর্মটি স্থাপন করা হয়েছে।
‘বইয়ের এই স্মৃতিস্তম্ভটি দাঁড়িয়ে রয়েছে যে জায়গায় সেই জায়গাটিতেই ১৯৩৩ সালে ইহুদি বা মার্ক্সবাদী লেখকদের বইয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল নাৎসিরা।
নাৎসিদের বই পোড়ানোর ওই ঘটনার পর ৮ দশক পার হয়েছে। আর এই তাক লাগানো কাজটি করেছেন আর্জেন্টিনার শিল্পী মারতা মিনুকিন। সব ধরনের সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ তিনি নিষিদ্ধ বই দিয়ে এ শিল্পকর্মটি তৈরি করেছেন।
এটিতে বানাতে তিনি ব্যবহার করেছেন ১ লাখ নিষিদ্ধ বই। প্রতিটি বই প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। জার্মানির খামখেয়ালি আবহাওয়ার জন্যই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৭৪ বছর বয়সী মিনুকিন দক্ষিণ আমেরিকার পপ শিল্পের আইকন। তিনি এই শিল্পকর্মটিকে তার সব কাজের মধ্যে ‘সবচেয়ে রাজনৈতিক’ বলে বর্ণনা করেছেন।