শুক্রবার । এপ্রিল ২৬, ২০২৪ । । ০১:৩২ এম

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দোয়া মাহফিলে ছাত্রলীগের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক। নতুনআলো টোয়েন্টিফোর ডটকম
প্রকাশিত: 2020-10-19 21:05:33 BdST হালনাগাদ: 2020-10-20 13:14:49 BdST

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপির দোয়া মাহফিল ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার, তার মেয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আইনজীবী মার-ই-য়াম খন্দকারসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেল সোয়া ৫টায় উপজেলার রূপসী এলাকায় তৈমূর আলম খন্দকারের পৈত্রিক বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।


 


প্রত্যক্ষদর্শী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, ‘তৈমূর আলম খন্দকারের জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল ৪টায় বাড়ির উঠানে রূপগঞ্জ এলাকাবাসীর ব্যানারে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও অসহায় মানুষের মধ্যে বস্ত্র বিতরণের আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না সেখানে উপস্থিত ছিলেন।


 


আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, তৈমূর আলম খন্দকার, তার মেয়ে মার-ই-য়াম খন্দকার সহ অনেকেই। এছাড়াও নেতাকর্মী সহ শতাধিক গ্রামবাসীও উপস্থিত ছিলেন।


 


তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর রূপগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল শিকদারের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন রামদা, হকিস্টিক, লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। তারা মাহমুদুর রহমান মান্না, তৈমূর আলম ও তার মেয়ে মার-ই-য়ামকে মঞ্চ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। মঞ্চে থাকা চেয়ার টেবিল, সাউন্ড সিস্টেম ভাঙচুর করা হয়। রামদায়ের আঘাতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। হামলাকারীরা অনুষ্ঠান মঞ্চের বাইরে থাকা কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।’


 


তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘হামলাটি হয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল শিকদারের নেতৃত্বে। মাহমুদুর রহমান মান্নাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।’রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এখনও এমন কোনো অভিযোগ আসেনি। বিষয়টি আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’


 


তব অভিযোগ অস্বীকার করে রূপগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল শিকদার বলেন, ‘আমরা হামলা করিনি। ওই এলাকার ছাত্রলীগ যুবলীগ সহ অন্যান্য সংগঠনের যারা আছে তারা তাদের কাছে জানতে চেয়েছিল যে কী অনুষ্ঠান চলছে। পরবর্তীতে তারা অনুষ্ঠান বাতিল করে। হামলার অভিযোগ মিথ্যা।’